লেডিজ শাল কিনুন সবচেয়ে কমদামে অনলাইনে
শাল এখন শুধুমাত্র শীত নিবারণের জন্যই পরা হয়, তা নয়। শাল এখন ফ্যাশনের একটি স্টাইলিশ অনুষঙ্গ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। হালকা ঠান্ডা হোক বা বেশি, শাল এখন সব অবস্থাতেই পরা হচ্ছে। শাল হলো একটি শীতপোষাক, যা চাদরের মতো পেঁচিয়ে পরা হয়ে থাকে। এটি সাধারণত দেহের উপরের অংশ, চাইলে মাথা সহ ঢাকতে ব্যবহৃত হয়। আমাদের দেশে নারী ও পুরুষ উভয়েই শাল পরিধান করেন।
শালের ইতিহাস
শালের ইতিহাস অত্যন্ত চমকপ্রদ। জানা যায়, চতুর্দশ শতকে যখন সাইয়িদ আলী হামাদানী লাদাখে এসেছিলেন, তিনি দেখেন যে, লাদাখী কাশ্মীরি ছাগলের পশম খুব নরম। তিনি কিছু পশম নিয়ে কাশ্মীরের রাজা সুলতান কুতুবউদ্দিনের জন্য একজোড়া মোজা তৈরি করলেন। কিছুদিন পর হামাদানী বাদশাহকে লাদাখে শাল শিল্প প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করতে বলেছিলেন। মোজা জোড়া দেখে রাজা এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে, তিনি বিনিয়োগ করতে রাজি হয়ে যান। এভাবেই কাশ্মীরে শাল শিল্প শুরু হয়েছিল।
প্রাচীন ভারতের জ্ঞান, সম্পদ, এবং পণ্যগুলি সমগ্র বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়েছিল কাশ্মীর। এবং কাশ্মীর পুরো বিশ্বজুড়ে শালের জন্য বিখ্যাত হয়েছে। শাল মূলত উষ্ণতার জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে এখন এগুলো পোশাকের অংশ হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। টালিট নামে পরিচিত একটি বিশেষ ধরণের শাল রয়েছে যা ইহুদি পুরুষরা প্রার্থনা করার সময় পরিধান করে। তবে, এখন এটি প্রধানত পুরুষ এবং মহিলা উভয়েরই উষ্ণতা এবং ফ্যাশন বজায় রাখতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
শাল দিয়ে কিছু ফ্যাশেনেবল ডিজাইন
শাল দিয়ে ঠাণ্ডায় আপনার শরীর ঢাকা যাবে, এতে ফ্যাশনেবলও দেখাবে। শাল গায়ে এমন ভাবে জড়াতে হবে যাতে তা গলার কাছে টাইট না হয়। এরপর শালের দুই প্রান্তকে এক কাঁধের কাছে নিয়ে এসে এতে সেফটিপিন বা ব্রোচ দিয়ে আটকে নিন। এভাবে শাল জড়িয়ে যেকোন অনুষ্ঠানে যাওয়া যেতে পারে।
এছাড়াও আরও কয়েকভাবে শাল পরা যেতে পারে। নেকলাইন দিয়ে স্টোলের মত করে শালটিকে পাকিয়ে নিতে হবে। এরপর শালের দুই প্রান্ত দুইদিকে ঝুলিয়ে দিতে হবে। এতেও হয়ে গেলো আরেকটি ডিজাইন।
শ্রাগের মতো করে শাল পরা যেতে পারে।এর জন্য শালটিকে পিঠের উপর ছড়িয়ে রাখতে হবে। শেষের দুই প্রান্ত এক জায়গায় এনে একটি ইলাস্টিক ব্যান্ডের সাহায্যে ভেতরের দিকে টেনে নিতে হবে। শালের পিছনে ব্যান্ডটিকে এমনভাবে ঢাকতে হবে, যাতে শালের পেছনের অংশটি দেখতে হুডির মত লাগে।এভাবে শাল জড়ালে তা দেখতে শ্রাগের মতো লাগবে।
আজকেরডিল-এ পাওয়া যাচ্ছে এমন কিছু শালের বিবরণ
বটল গ্রীন ভেলভেট লেডিজ শাল উইথ এমব্রয়ডার্ড লেস
এটি একটি গর্জিয়াস লেডিস শাল। এর উপাদান হলো মখমল বা ভেলভেট। শালটির বর্ডারে এম্ব্রডারির কাজ করা আছে ও লেইস সংযুক্ত আছে। এর প্রস্থ ৭৬ সেমি এবং দৈর্ঘ্য ২০৫ সেমি। এটি যে কোনও পার্টি বা অনুষ্ঠানে পরলে সহজেই মানিয়ে যাবে।
হ্যান্ড মেড ট্রাইবাল কটন সিল্ক শাল
এই শালটি উপজাতিদের হাতে তৈরি অত্যন্ত সুন্দর ডিজাইনের একটি শাল। এর ফেব্রিক কটন ও সিল্ক মিক্সড। এর সাইজ ৩২”X ৮০” সেমি। এটি টেকসই ও মজবুত, সাথে রয়েছে স্টাইলিশ ডিজাইন। শীতের তীব্রতায় এই শালটি দেবে উষ্ণতার ছোঁয়া।
হ্যান্ড এমব্রয়ডারি ওয়ার্ক শাল
এই শালে রয়েছে মজবুত সুতার গঠন ও নান্দনিক কারুকাজ।
শালটির দৈর্ঘ্য ৮১ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ৩০ ইঞ্চি। এর ফেব্রিক হলো কটন ও সিন্থেটিক এর মিশ্রণ। এতে মাল্টি কালার সুতার কাজ করা রয়েছে। এটি শীতে দেবে দারুণ উষ্ণতা।
নোট- কম্পিউটার মনিটারের ব্রাইটনেস-এর কম-বেশির কারণে শালটির রঙের কিছুটা পার্থক্য হতে পারে।
ঢাকাই মকমল শাল
এই শালটি ঢাকাই মখমলের তৈরি। এর সাইজ- প্রস্থ ২ হাত ও লম্বায় ৪.৫ হাত।
এতে মাল্টি কালারের কাজ করা আছে। ধোয়ার পর এর রং উঠবে না। এতে রঙয়ের গ্যারান্টি আছে। এটি শীতকালে পরার জন্য বেশ আরামদায়ক।
আজকেরডিল ডট কম-এ আপনি পাবেন বাংলাদেশের সেরা সব শাল। কাশ্মীরি শালও রয়েছে আমাদের সংগ্রহে। এই কাশ্মীরি শালগুলো সরাসরি কাশ্মীর থেকে আমদানি করা হয়। শালগুলি খুব সুন্দর এবং মার্জিত নকশা করা থাকে। আমাদের কাছে আরও রয়েছে ঢাকাইয়া শাল। এই ঢাকাইয়া শালগুলো ঢাকার বিখ্যাত হস্তশিল্প ডিজাইনারদের দ্বারা তৈরি করা হয়। এই শালগুলি কাশ্মীরি শালের পরে পুরো বিশ্বের বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে বেশ বিখ্যাত।
আমাদের কাছে মখমলের শালও রয়েছে। ভেলভেট বা মখমল হলো সিনথেটিক বা প্রাকৃতিক ফাইবার দিয়ে তৈরি এক ধরণের ফ্যাব্রিক। তন্তুগুলি কাপড়ের উপরে সমানভাবে থাকে যা খুব নরম অনুভূতি দেয়। এখানে হস্তনির্মিত উপজাতি শালও রয়েছে যা উপজাতীয়দের হস্তশিল্পের প্রতীক হিসাবে পরিচিত।
অনলাইনে শালের একটি বিশাল সংগ্রহ পাবেন আজকেরডিল ডট কম-এ।এখান থেকে আপনি আপনার পছন্দের শালটি বেছে নিতে পারেন ও বাংলাদেশে শালের দামও জানতে পারেন। তাই আপনার পছন্দের শালটি আজই সংগ্রহ করুন সবচেয়ে কম দামে।