বাংলাদেশে রিচার্জ্যাবল ফ্যান । আজকেরডিল
এই গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণ। ফ্যানের একটু বাতাসে জুড়িয়ে যায় শরীর। সেই সুবিধাও মাঝে মাঝে পাওয়া যায় না। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে লোডশেডিংও। সমস্যার হাত থেকে রেহাই পেতে আবারও আশীর্বাদ হয়ে এসেছে নানা ধরনের রিচার্জেবল লাইট ও ফ্যান। যা ‘চার্জার লাইট বা ফ্যান’ নামে পরিচিত।
গরমের এই সময়ে গ্রাহকদের কাছে রিচার্জজেবল ফ্যান-লাইটের চাহিদাটা একটু বেশি। এ ধরনের বৈদ্যুতিক পণ্যের বেশির ভাগই হলো চীনের তৈরি। পাশাপাশি মালয়েশিয়া, হংকং ও তাইওয়ানের তৈরি বিভিন্ন পণ্যও মিলবে। নোভা, সাচি, ওসাকা, গ্রিন পাওয়ার, ডেলাইট, নিস্ট্রল নানা ব্যান্ডের পণ্য পাবেন বাজারে। নিউমার্কেটের ইলেকট্রনিকস দোকানগুলোতে এবং অনলাইন শপিং মল আজকের ডিলে ছোট রিচার্জেবল ফ্যান পাওয়া যাবে ৮০০ থেকে দেড় হাজার টাকায়।
বড় ফ্যানগুলো পাওয়া যাবে এক হাজার ৮০০ থেকে চার হাজার টাকায়। আর বড় শপিং মলগুলোতে দাম পড়বে একটু বেশি। ফ্যানের দাম পড়বে আড়াই হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। এগুলোর মধ্যেও নানা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। ইচ্ছে করলে কেনা যাবে রিমোট কন্ট্রোল ফ্যান আর লাইট। এ ক্ষেত্রে অবশ্য মূল দামের চেয়ে কিছু বাড়তি খরচ যোগ করতে হবে।
ব্যবহারবিধি : লম্বা সময় ধরে চার্জার ফ্যান বা লাইট ব্যবহার করার জন্য অবশ্যই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। চার্জার ফ্যান বা লাইট কেনার পর একনাগাড়ে ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা চার্জ দিয়ে তারপর ব্যবহার করতে হবে। তবে এরপর থেকে চার্জ শেষ হয়ে গেলে দুই থেকে তিন ঘণ্টা চার্জ দিলেই চলবে। চার্জার লাইট বা ফ্যান সারাদিন প্লাগে লাগিয়ে রাখা ঠিক নয়। চার্জার ফ্যানের ক্ষেত্রে ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেলে ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকার মধ্যে নতুন ব্যাটারি কিনে সংযুক্ত করা যেতে পারে। আর চার্জার লাইটের ক্ষেত্রে এনার্জি সেভিং লাইট কেনাই ভালো।
কোথায় পাবেন: তুলনামূলক কম দামের মধ্যে চার্জার ফ্যান বা লাইট কিনতে হলে ঘুরে আসতে পারেন পুরান ঢাকার নওয়াবপুর রোডের দোকানগুলো থেকে। এছাড়া বসুন্ধরা সিটি, নিউ মার্কেট, মৌচাক মার্কেট এবং স্টেডিয়াম মার্কেটসহ দেশের প্রায় সকল ছোট-বড় ইলেকট্রনিক্সের দোকানে পাওয়া যাবে বিভিন্ন মডেলের আকর্ষণীয় চার্জার লাইট ও ফ্যান। আর ঘরে বসে নিজের পছন্দ অনুযায়ী ফ্যান কিনতে চাইলে ঘুরে আসুন এই লিংক থেকে।