রসে ভরা রসগোল্লা, স্বাদ যেন তার ভুবনভোলা! | আজকেরডিল
বাংগালিদের কোন উৎসবই মিষ্টি ছাড়া পরিপূর্ণ হয় না। পরিবারের সাথে আপনার বিশেষ মুহুর্তটি উপভোগ করতে অনলাইনে রসগোল্লা অর্ডার করুন।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টিগুলোর মধ্যে রসগোল্লা অন্যতম। এর লোভনীয় স্বাদ ও অসাধারণ স্বাদের জন্য ছোট-বড় সকলেরই অনেক পছন্দ এই মিষ্টিটি। ছোট ছোট বাচ্চারাও এই মিষ্টিটি খেতে খুব পছন্দ করে। আপনার জীবনের স্মরণীয় মুহুর্তগুলো আপনার প্রিয় মিষ্টির সাথে উপভোগ করুন। আপনি এখন ঘরে বসেই অর্ডার দিতে পারবেন কারণ আপনার প্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস আজকেরডিল ডট কম-এ এখন রয়েছে রসগোল্লা সহ আরও নানা রকমের মিষ্টির সমাহার। আজই অর্ডার দিন আর আপনার প্রিয় মিষ্টি উপভোগ করুন, ঘরে বসেই!
বাংলাদেশে প্রচলিত মিষ্টিগুলোর মধ্যে রসগোল্লা অন্যতম। এই মিষ্টি খাঁটি দুধ ও পরিশোধিত ছানা দিয়ে বানানো হয়ে থাকে। আমরা আসল স্বাদের রসগোল্লা সরবরাহ করি এবং অতিরিক্ত স্বাদের জন্য এতে কোনও কৃত্রিম ফ্লেভার যুক্ত করা হয় না। মানের দিক দিয়ে আমাদের কাছে প্রাপ্ত রসগোল্লা অসাধারণ।তাই অনলাইনে সেরা মানের, সুস্বাদু ও মজাদার রসগোল্লা অর্ডার করতে আজকের ডিল ডট কম-এ ক্লিক করুন এবং আসল রসগোল্লার এক আশ্চর্য স্বাদ গ্রহণ করুন। আমরা সরাসরি
পাবনা, গাইবান্ধা ইত্যাদি এলাকার ঐতিহ্যবাহী রসগোল্লা নিয়ে আসি, তাই একমাত্র আমাদের কাছেই পাবেন বাংলাদেশের বিভিন্ন জনপ্রিয় অঞ্চলের সুস্বাদু রসগোল্লা। তাই দেরি না করে আজই আমাদের সাইট থেকে আপনার পছন্দের অঞ্চলের রসগোল্লা অর্ডার করুন।
রসগোল্লার ইতিহাস
ইতিহাস বলে, প্রথম রসগোল্লা প্রস্তুত করা হয়েছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। আধুনিক রসগোল্লা আবিষ্কর্তা ছিলেন নবীন চন্দ্র দাস। ১৪০০ সালের শেষেরদিকে, ১৫ শতকের দিকে মিষ্টিটি নদিয়াতে বানানো শুরু হয়। এরপর থেকেই এই রসগোল্লা বিপুল জনপ্রিয় হয় ও আশেপাশের রাজ্যগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। একসময় কলকাতায়ও এটি প্রচুর জনপ্রিয়তা লাভ করে। এভাবে ধীরে ধীরে রসগোল্লা নদীয়া থেকে কলকাতা ও ওড়িশায় ছড়িয়ে পড়ে।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, রসগোল্লার আদি উৎপত্তিস্থল হলো বর্তমান বাংলাদেশের বরিশালে। পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া এলাকায় পর্তুগীজদের শাসনকালে সেখানকার মিষ্টি ময়রাগণ ছানা, দুধ, চিনি ও সুজি দিয়ে গোলাকার একধরনের মিষ্টান্ন তৈরি করেন, যেটি রসগোল্লা বা ক্ষীরমোহন নামে পরিচিত। পরবর্তীতে বরিশাল এলাকার হিন্দু ময়রাগণের বংশধর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ তথা কলকাতায় ও ওড়িশায় ছড়িয়ে পরেন ও রসগোল্লা বানাতে শুরু করেন।
বাংলা সাহিত্যেও রসগোল্লা নিয়ে অনেক সাহিত্য ও কবিতা রচিত হয়েছে। বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট রম্য সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী রসগোল্লা নিয়ে রচনা করেছেন তাঁর বিখ্যাত রম্যগল্প "রসগোল্লা"। এছাড়াও আরও অনেক কবি সাহিত্যিক রসগোল্লা নিয়ে কাব্য রচনা করেছেন।
ভ্যাকুয়াম প্যাকিং এর প্রবর্তন
১৯৩০ সালে নবীন চন্দ্রের ছেলে কৃষ্ণচন্দ্র দাস রসগোল্লার ভ্যাকুয়াম প্যাকিং প্রবর্তন করেন। এর ফলে রসগোল্লার একটি বিরাট বাজার তৈরি হয়। যা ভ্যাকুয়াম প্যাকিং এর মাধ্যমে দেশে ও দেশের বাইরে রসগোল্লা পাঠানো সম্ভব হয় এবং ধীরে ধীরে দেশের বাইরে রসগোল্লা রপ্তানি করা শুরু হয়। কৃষ্ণ চন্দ্রের ছেলে সরদার চরণ দাশ কে.সি. দে মিষ্টির দোকান প্রতিষ্ঠা করেন।
বর্তমানে প্লাস্টিকের টিনে ভরা রসগোলা ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ জুড়ে পাওয়া যায়। এছাড়াও উপমহাদেশের বাইরে দক্ষিণ এশিয়াতেও রসগোল্লা পাওয়া যায়। নেপালের রাজপ্রাসাদে রসগোল্লা ‘রাশবুলি’ নামে পরিচিত।
আজকেরডিলে প্রাপ্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার মজাদার রসগোল্লার বিবরণ
যশোরের জামতলার সাদেক গোল্লা
যশোরের জামতলার উপজেলার ৩০ থেকে ৩৫টিস্থানে এই মিষ্টি তৈরি হয়ে থাকে। তবে এগুলো হলো জামতলার মিষ্টি, সাদেক গোল্লা নয়। বহু মানুষ না জানার ফলে সাদেক গোল্লা ভেবে জামতলার মিষ্টি কেনেন এবং পরে প্রতারিত হয়ে থাকেন। আজকেরডিল ডট কম এই প্রতারনার হাত থেকে সম্মানিত ক্রেতাদেরকে বাঁচানোর জন্য সরাসরি সাদেকের দোকান থেকে মিষ্টি কিনে ঢাকা শহরে ডেলিভারি দিচ্ছি। তাই অনলাইনে ঘরে বসেই সাদেক গোল্লা
অর্ডার করতে ভিসিট করুন আজকেরডিল ডট কম।
টাঙ্গাইলের বিখ্যাত রসগোল্লা
আমরা সরাসরি টাঙ্গাইল পোড়াবাড়ি থেকে রসগোল্লা সরবরাহ করি। আমাদের মিষ্টি ১০০% খাঁটি দুধ ও ছানা থেকে তৈরি করা হয়ে থাকে, তাই এটি অত্যন্ত সুস্বাদু ও মজাদার। আমরা ১ কেজি ও ২ কেজির প্যাকেটে মিষ্টি সরবরাহ করে থাকি।
নোটঃ রসগোল্লা শুধুমাত্র ঢাকা শহরের ভেতর ডেলিভারি দেওয়া হয়।
রসগোল্লা তৈরির রেসিপি
উপকরণসমুহ-২ লিটার ঘন ও তরল দুধ, ৪ কাপ লেবুর রস।
সিরা তৈরির জন্য- দেড় কাপ চিনি, ৩ কাপ পানি, ৩ টি এলাচ।
প্রণালী- একটি পাতিলে সব দুধ নিতে হবে। দুধ ফুটে উঠলে লেবুর রস দিয়ে দিতে হবে ও জ্বাল কমিয়ে দিতে হবে। দেখা যাবে, দুধ থেকে পানি আলাদা হয়ে ধীরে ধীরে ছানা তৈরি হয়েছে। এবার একটি পাতলা কাপড় এর উপরে ছানাগুলো ঢেলে দিন ও সাথে সাথে ছানার উপর পানিও ঢেলে দিন। এখন কাপড়টি হাত দিয়ে চেপে পানি ছেঁকে নিতে হবে। এরপর ৪ থেকে ৫ ঘন্টা বাতাসে রেখে দিতে হবে। হাত দিয়ে মাখিয়ে গোল একটি ডো তৈরি করতে হবে। এবার রসগোল্লার মত করে গোল গোল করে নিতে হবে।
সিরা তৈরির জন্য চুলায় চিনি, পানি ও এলাচ দিয়ে জ্বাল দিতে হবে। পানি ফুটতে শুরু করলে চেক করতে হবে চিনি গলে গিয়েছে কিনা। সব ঠিক থাকলে এরপর ফুটন্ত পানিতে রসগোল্লাগুলো দিয়ে ৫ মিনিট জ্বাল দিতে হবে। দেখা যাবে, রসগোল্লাগুলো ফুলে উঠেছে। এবার চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
আমাদের কাছে রয়েছে চিনিমুক্ত রসগোল্লা ও স্পঞ্জ মিষ্টি, যা ডায়বেটিস রোগীরা বা যাদের উচ্চ কোলেস্টোরেল রয়েছে, তারা নির্দ্বিধায় খেতে পারবেন। এই চিনিমুক্ত মিষ্টিগুলো যারা ডায়েটে আছেন, তারাও অনায়াসে খেতে পারবেন।
আজকেরডিল ডট কম থেকে অনলাইনে বিভিন্ন প্রকার মিষ্টি অর্ডার দিন আর ঘরে বসে হোম ডেলিভারি পান। তাই ঝামেলা মুক্ত অনলাইন শপিংয়ের জন্য এখনই ব্রাউজ করুন আজকেরডিল ডট কম।