ইলেকট্রিক দই মেকার ইন অনলাইনে কিনুন সবচেয়ে কমদামে
দই বেশ উপকারী একটি খাদ্য। দই খেলে শরীরের অনেক উপকার হয়। এটি শুধুমাত্র একটি মজাদার খাবার নয়, স্বাস্থ্যকরও। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই খাবারটি গ্রহণ করলে বেশ কিছু উপকারিতা পাওয়া যাবে। দই সাধারণত টক ও মিষ্টি- এই দুই প্রকারের হয়ে থাকে। মিষ্টি দইয়ের চেয়ে টক দই বেশি উপকারী বলে জানা গেছে।
অনেকে বাইরের তৈরি দই এর উপর ভরসা রাখতে পারেন না। কারণ, দোকানের দই অনেক সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হয়ে থাকে। এই দই খেয়ে লাভের চেয়ে ক্ষতিই হবে বেশি। তাই যারা নিয়মিত দই খেতে ভালবাসেন, তারা চাইলে সামর্থ্যের মধ্যে একটি দই মেকার কিনে এরপর ঘরে বসেই দই বানাতে পারেন।
দইপ্রেমীদের জন্য আজকেরডিল নিয়ে এসেছে দেশি-বিদেশী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দই মেকার মেশিন। এই মেশিনের সাহায্যে এখন ঝটপট ঘরে বসেই বানিয়ে ফেলা যাবে টক বা মিষ্টি যেকোন প্রকারের দই, নিমিষেই। তাই দেরি না করে আজই আজকেরডিল থেকে আপনার পছন্দসই দই মেকারটি অর্ডার দিন আর ঘরে বসেই বানিয়ে ফেলুন মজাদার ও স্বাস্থ্যকর দই।
দইয়ের উপকারিতা
ওজন কমায়
টক দই নিয়মিত খেলে শরীরের ওজন কমে। খাবারের সঙ্গে টক দই খেলে তা দেহের চর্বিকে ব্যবহার করতে উৎসাহিত করে। এতে দেহের চর্বি কমে ও সার্বিকভাবে ওজন কমে।
দেহে ছত্রাকের আক্রমণ প্রতিরোধ করে
অনেক সময় দেহে ফাংগাল ইনফেকশন হয়। দই এই ছত্রাক সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলোকে ধ্বংস করে ও দেহে ছত্রাকের আক্রমণ প্রতিরোধ করে।
ত্বককে সুন্দর করে
দই ত্বককে মসৃণ ও সুন্দর করে। দই মুখে লাগালে মুখের দাগ দূর হয়। দইয়ের ল্যাকটিক এসিড ত্বককে পরিষ্কার করে ও মৃত কোষকে দূর করে ত্বককে প্রাণবন্ত দেখায়।
পুষ্টির ভালো উৎস
দইয়ে প্রচুর ভিটামিন-এর পাশাপাশি অন্যান্য উপকারী উপাদান আছে। বিশেষ করে পটাশিয়াম, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন বি - ৫, ফসফরাস, আয়োডিন ও জিংক পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে।
খাবার হজম করতে সাহায্য করে
হজমের সমস্যার কারণে অনেকে দুধ খেতে পারেন না, ডাক্তাররাও নিষেধ করেন। তারা চাইলে দই খেতে পারেন। এছাড়াও দই খাবার হজম করতে সাহায্য করে।
রক্তচাপ কমায়
যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাদের জন্য দই বেশ উপকারী। কারণ,
দইয়ের পটাসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
পাকস্থলী ভালো রাখে
দই পাকস্থলীর বিভিন্ন সমস্যা দূর করে একে ভালো রাখতে সহায়তা করে। বিশেষ করে ডায়রিয়া, কোলন ক্যান্সার, কোষ্ঠকাঠিন্য, ল্যাকটোজের প্রতি সংবেদনশীলতা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্ত্রের সমস্যা দূর করতে দই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
হাড় মজবুত করে
দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। দুটি উপাদানই হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয়। তাই নিয়মিত দই খাওয়ার অভ্যাস হাড়কে মজবুত করে তোলে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
নিয়মিত দই খেলে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। দেহের রক্তের শ্বেতকণিকা বাড়িয়ে দেয় দই। শ্বেতকণিকা দেহে বিভিন্ন জীবাণুর সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
উপকারী ব্যাকটেরিয়া
দইয়ে অসংখ্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া উপস্থিত থাকে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো দেহের ক্ষতি করে না বরং উপকার করে। এছাড়া দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও দই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
দই মেকার দিয়ে বাড়িতে বসেই দই বানানোর উপায়
বাড়িতে বসে দই বানাতে চাইলে আজই কিনুন ইলেকট্রনিক দই মেকার। এই মেশিনে দই বানাতে চাইলে কোনো প্রকার বাড়তি ঝামেলা নেই বললেই চলে। দই মেকার মেশিনে দই সুন্দরভাবে জমাট বাঁধার নিশ্চয়তা দেয়।
আপনার প্রিয় অনলাইন স্টোর আজকেরডিল ডট কম শুধুমাত্র আপনার জন্য নিয়ে এসেছে বিভিন্ন মডেলের ও ছোট-বড় বিভিন্ন আকৃতির দই মেকার মেশিন। ছোট ছোট বাটির মতো আকৃতির এসব দই মেকারে সাধারণত ছয়টি কাচের গ্লাস থাকে, যার মধ্যে দুধ রেখে দেওয়া হয় দই তৈরি ও জমাট বাঁধার জন্য। আপনার সাধ ও সাধ্যের মধ্যেই একটি ভালো দই মেকার কিনতে পারবেন।
দই বানানোর নিয়ম
একটি বড় পাত্রে ১ লিটার দুধ (মিষ্টি দই খেতে চাইলে পরিমাণমত চিনি) দিয়ে চুলায় ফুটাতে হবে। চুলার উপর দুধ রেখে এর পরিমাণ অর্ধেকে আনতে হবে। এরপর চুলার আঁচ কমিয়ে দিয়ে এতে সামান্য দই, লেবুর রস অথবা ভিনেগার দিয়ে খুব ভালো করে মেশাতে হবে। দুধ গরম থাকতে থাকতেই দুধের দ্রবণটি দই মেকার মেশিনের প্রতিটি কাচের গ্লাসে ঢেলে ঢাকনা দিয়ে গ্লাসগুলো ঢেকে দিতে হবে। দই কেমন ঘন হবে, তার জন্য নির্দেশনা বাটন রয়েছে। ঘন দই চাইলে থিক, আর পাতলা দই চাইলে থিন বাটন চাপতে হবে। এরপর দই মেকারটিকে একটি শুষ্ক স্থানে ছয় থেকে সাত ঘণ্টার জন্য রেখে দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের পর দই মেকার থেকে গ্লাসগুলো বের করলেই পাওয়া যাবে দই।
কয়েকটি প্রয়োজনীয় টিপস
- দই তৈরির সময় দুধের মধ্যে পানি না দেওয়া ভালো, এতে দই খাঁটি ও ঘন হবে।
- রান্নাঘরের তাপমাত্রা যদি ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হয়, তাহলে দই মেকারটি পাঁচ মিনিট চার্জে দিয়ে গরম করে নিতে হবে।
- দই মেকারে দই বসানোর মেশিনটি আর নাড়াচাড়া করা ঠিক নয়, এতে দই নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- দই তৈরি করার পর আরও ভালো স্বাদ পেতে চাইলে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে।
দই মেকার ছাড়াও আজকেরডিলে আরও রয়েছে কটন ক্যান্ডি মেকার, যা দিয়ে আপনি ঘরে বসেই আপনার শিশুর পছন্দের হাওয়াই মিঠাই তৈরি করতে পারবেন। আরও আছে স্যান্ডউইচ মেকার, যা আপনাকে ঝটপট স্যান্ডউইচ বানাতে সাহায্য করবে। এছাড়াও আমাদের কালেকশনে রয়েছে
চকোলেট ফন্ডেন্ট ইলেকট্রিক ফাউন্টেন মেশিন। এটি দিয়ে চকোলেটের কৃত্রিম ফোয়ারা তৈরি করা যাবে। তাই আজই ভিসিট করুন আজকেরডিল ডট কম আর অনলাইনে অর্ডার করে আপনার দরকারি প্রোডাক্টটি ঘরে বসেই পেয়ে যান আমাদের হোম ডেলিভারি সেবার মাধ্যমে।