বাংলাদেশে ডোর ও ফ্লোর ম্যাট । আজকেরডিল
বিশেষ দিনে ঘরে অতিথি দাওয়াত দেয়া আর আপ্যায়নের মাঝেই লুকিয়ে আছে উত্সবের প্রকৃত আনন্দ। আর মেহমান দাওয়াত দিলে কি ঘর এলোমেলো করে রাখলে চলে? তাই ঘরের জন্যও চাই বিশেষ সাজ। নিজের ঘরের অতি সাধারণ সাজকে খানিকটা বদলে নতুন রূপ দিতে পারেন খুব সহজেই। জেনে নিন বৈশাখে ঘরের সাজে ভিন্নতা আনার কিছু সহজ উপায় সম্পর্কে। ঈদের সময় শুধু আসবাবের স্থান পরিবর্তন কিংবা পুনর্বিন্যাস করলেই চলবে না, পাশাপাশি ঘর পরিষ্কার করে রাখতে হবে, যেন তা অতিথির দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তাই এই সময় সোফা, পর্দা, বিছানার চাদর, বাথরুম, ফ্লোর সব কিছু ঝকঝকে করে রাখুন। এতে ঘরটাকে না সাজালেও সুন্দর দেখাবে। তবে সবচেয়ে বেশি পরিচ্ছন্ন রাখা যেটা দরকার, তা হলো ফ্লোর ম্যাট, কারণ ফ্লোর ম্যাট যদি নোংরা থাকে তাহলে সোফা, বিছানার চাদর, বাথরুম, ফ্লোর সব কিছুই নোংরা হয়ে যায় l শুধু ঘর পরিষকার রাখতেই নয়, ঘরের সৌন্দর্য্য বাড়াতেও এর ভূমিকা অপরিসীম l
বেডরুমের সাজে নতুনত্ব আনতে বিছানার পাশে বিছিয়ে দিন একটি ফ্লোরাল বা অ্যানিমেল প্রিন্ট ফ্লোর ম্যাট। একটি ছিমছাম পরিপূর্ণ, আরামদায়ক ও সুসজ্জিত ঘরে স্বপ্ন কে না দেখে! সেই স্বপ্ন বাস্তব করতে চাই সঠিক পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি। ঘর সাজানোর অন্যান্য উপকরণের মধ্যে ফ্লোর ম্যাট কিংবা কার্পেটের জুড়ি নেই। এসব কেনার আগে প্রথমে ভাবতে হবে রুমের আয়তন অনুযায়ী ফ্লোর ম্যাট কিংবা কার্পেটের সাইজ, ডিজাইন, মেটেরিয়াল, রঙ নির্ধারণ। আধুনিকতার ছোঁয়ায় ফ্লোর ম্যাট এবং কার্পেটের ধরন-ধারণ অনেকটা পাল্টে গেলেও বদলায়নি এর বৈচিত্র্য, যা রঙধনুর সঙ্গে তুলনীয় হতে পারে। এবার সেসব দেখে নেওয়া যাক উল্টেপাল্টে।
বাজারে দুই ধরনের ম্যাট পাওয়া যায়। যার মধ্যে একটি চার ফুট চওড়া জুট ম্যাট ১১০ থেকে ১৬০ টাকা গজ, অন্যটি হলো সিনথেটিক ম্যাট, যা ৮ ফুট চওড়া। এ ধরনের ম্যাটের দাম পড়বে ২৫ টাকা স্কয়ার ফুট। ফ্লোর অনুষঙ্গ হিসেবে কার্পেটের খুব ব্যবহার দেখা যায়। বাজারে সিনথেটিক, জুট এবং তন্তুর তৈরি কার্পেট পাওয়া যায়, যার দাম ৬০ টাকা স্কয়ার ফুট থেকে শুরু করে হিসাব নেই।দরদাম : ২ হাজার থেকে ২ কোটি টাকার ওপরে পাওয়া যাবে।বর্তমানে ঘরের শোভাবর্ধনে ফ্লোর ম্যাট কিংবা কার্পেটের কদর বাড়ছে দিন দিন। আভিজাত্যের পাশাপাশি ঘরের ব্যক্তিত্বকেও তুলে ধরে। তাই ব্যবহারিক জীবনে এর প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকারের জো নেই। ফ্লোরম্যাট কেনার পড়ে সেটার জন্য প্রয়োজন হয় বাড়তি কিছু যত্নের। নাহলে কিছুদিনের মধ্যেই পুরোনো হয়ে যায় এগুলো। জেনে নিন ফ্লোর ম্যাটের যত্নআত্তি সম্পর্কে।
ফ্লোর ম্যাটে প্রচুর ধুলাবালি আটকে যায়। তাই পরিষ্কার করার জন্য ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করুন। ঘরে একটি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার রাখুন। প্রতি দুই দিন পর পর কার্পেট পরিষ্কার করে নিন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে। তাহলে ফ্লোর ম্যাট থাকবে ধুলাবালি মুক্ত এবং পরিষ্কার। পানি, চা, কোক বা ঝোল যুক্ত তরকারী ফ্লোর ম্যাটের আশে পাশে আনবেন না। কারণ অসাবধানতাবশত হাত থেকে পড়ে দিয়ে ফ্লোর ম্যাটে পড়ে গেলে দাগ হয়ে যাবে। যদি অসাবধানতাবশত পরেও যায় তাহলেও যত দ্রুত সম্ভব টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে ফেলার চেষ্টা করুন।
মাঝে মাঝেই ধুয়ে ফেলুন। ফ্লোর ম্যাটের উপর চুল, বেড়ালের লোম এবং আরো নানান রকম ময়লা আটকে থাকে যেগুলো ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করা যায় না। এই ধরনের ময়লা গুলো পরিষ্কার করে ফেলার জন্য সপ্তাহে অন্তত একদিন কার্পেট পরিষ্কারের ব্রাশ দিয়ে ফ্লোর ম্যাটটি পরিষ্কার করে ফেলুন।
বৃষ্টি হলে কিংবা বর্ষা কালে মেঝে থেকে নোনা উঠে। ফলে ম্যাটের ক্ষতি হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কার্পেটের নিচে কার্পেট প্যাড ব্যবহার করুন। এতে ফ্লোর ম্যাট ভালো থাকবে বহুদিন।