হারবাল প্রোডাক্টস সবচেয়ে কমদামে অনলাইনে
হারবাল পণ্য হলো কেমিক্যাল ছাড়া সম্পূর্ণ ভেষজ উপাদানে তৈরি পণ্য। বলা হয়ে থাকে এগুলোতে কোন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক গাছ-গাছড়া ও অন্যান্য উপাদান থেকে হারবাল পণ্য তৈরি করা হয়ে থাকে। তাই এগুলো নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায়। অনেক সময় এগুলোর ফলাফল আসতে কিছুটা সময় লাগে, তারপরও অনেকের মতে হারবাল পণ্য ব্যবহার করাই নিরাপদ।
সাধারণত ওষুধ বা খাদ্যদ্রব্যই হারবাল হয়ে থাকে। এছাড়াও অন্যান্য হারবাল পণ্যের মধ্যে রয়েছে হারবাল চা, বিভিন্ন পাতা বা ফলের গুঁড়া, লোশন, জেলি, টুথপেস্ট, ফুলের পাপড়ি গুঁড়া, ইত্যাদি।
আর হারবাল প্রোডাক্টের সাথে অর্গানিক পণ্যের কিছুটা মিল রয়েছে। রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার, রাসায়নিক ওষুধ এর পরিবর্তে ভেষজ ওষুধ, কীটনাশকের পরিবর্তে জৈব বালাইনাশক, রাসায়নিক প্রিজারভেটিভ এর পরিবর্তে হার্বাল প্রিজারভেটিভ দ্বারা উৎপাদিত ও সংরক্ষিত পণ্যই অর্গানিক পণ্য নামে পরিচিত। এগুলোও বিভিন্ন প্রকার ক্ষতিকর কেমিক্যাল থেকে মুক্ত বলে শরীরের জন্য ভালো।
সকল ধরণের হারবাল পণ্য ও অর্গানিক পণ্য এখন অনলাইনে সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। তবে আসল ও খাঁটি হারবাল ও অর্গানিক পণ্য কিনতে চাইলে আজই ভিসিট করুন আজকেরডিল ডট কম, আপনার বিশ্বস্ত অনলাইন মার্কেটপ্লেস, আর এখান থেকে অনলাইনে ভেষজ ও প্রাকৃতিক পণ্য কিনুন নিশ্চিন্তে।
আজকেরডিল-এ পাওয়া যাচ্ছে এমন কিছু হারবাল ও অর্গানিক পণ্যের বর্ণনা দেওয়া হলো
শঙ্খ গুঁড়া
শঙ্খ গুঁড়ার নিয়মিত ব্যবহার ত্বককে ভেতর থেকে ফর্সা করে, ওপেন পোরস কমায়, রিংকেলস ও বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে, ফ্রিকেলস বা ছুলির দাগ কমায়, ব্রণের কারণে সৃষ্ট দাগ ও গর্ত দূর করে, তেলতেল ভাব কমায়। এছাড়াও এটি ত্বককে সুন্দর ও লাবণ্যময় করে বয়স কমিয়ে দেয়। নিয়মিত শঙ্খ গুঁড়া ব্যবহার করে আপনিও হয়ে উঠতে পারেন আগের চেয়েও সুন্দর।
গোলাপ ফুলের পাপড়ির গুঁড়া
গোলাপের পাপড়ির গুঁড়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। নিচে তা দেওয়া হলো-
ত্বকের কোমলতা বাড়ায় - রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ২ কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ গোলাপ ফুলের গুঁড়া ভিজিয়ে রাখতে হবে, ঘুম থেকে উঠে এই পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ত্বক কোমল হবে।
ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে - আজকাল মেয়েদের একটি কমন সমস্যা হলো ব্রণ। এই ব্রণের সমস্যা দূর করতে গোলাপের পাপড়ির গুঁড়া বেশ ভালো কাজ করে।
- গোলাপের পাপড়ির সাথে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে ব্রণের স্থানটিতে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
- মুলতানি মাটি, নিম পাতার গুঁড়া, গোলাপের গুঁড়া ও পানি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগাতে হবে। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এটি ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
- গোলাপের পাপড়ির গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। ব্রণের স্থানগুলোতে গোলাপের পাপড়ির পেস্ট লাগালে ব্রণ দূর হয়ে যাবে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা ও কোমলতা বাড়ায় - ২ টেবিল চামচ দুধ ও ২ টেবিল চামচ মধুর সাথে গোলাপের গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে রাতে ঘুমানোর আগে মুখে লাগাতে হবে ও শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
চোখের নিচের কালি দূর করতে সাহায্য করে – চোখের নিচের কালি দূর করতে গোলাপের পাপড়ির ভূমিকা রয়েছে। একটি পাত্রে অল্প কিছুক্ষণ গোলাপ পাপড়ির গুঁড়া ভিজিয়ে রেখে এরপর তুলা দিয়ে ঐ পানি চোখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট চোখ বন্ধ করে রাখতে হবে। এতে ধীরে ধীরে চোখের নিচের কালি দূর হয়ে যাবে।
ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে - ১ চা চামচ পাপড়ির গুঁড়া ও ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে। এটি বেশ ভালো ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করবে।
নিম পাতার গুঁড়া
নিম পাতার গুঁড়া মাথার উকুন এবং খুশকি থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে। এটি ব্রণ এবং পিম্পলও সারিয়ে দেয়। এটি ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে ও
পরিষ্কার করে। নিম পাতার গুঁড়া চুল পড়া কমায়। শরীরে কোথাও চুলকানি হলে নিম পাতার গুঁড়া গোসলের পানিতে মিশিয়ে গোসল করলে চুলকানি সেরে যায়।
থানকুনি পাতার গুঁড়া
থানকুনি পাতা আমাদের দেশে খুবই পরিচিত ও সহজলভ্য ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। প্রাচীনকাল থেকেই গ্রামেগঞ্জে থানকুনি পাতা ব্যবহার হয়ে আসছে। দেখতে ছোট, গোলাকৃতির এই পাতার অনেক ঔষধি গুণাবলী রয়েছে। নিচে থানকুনি পাতার কিছু গুণাগুণ দেওয়া হলো-
- চুলের খুশকি দূর করতে সাহায্য করে,
- নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে,
- চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে,
- চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে,
- ত্বকের বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে,
- ত্বকের দাগ দূর করে,
- ত্বকের ভিতরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে।
ত্বকের যত্নে থানকুনি পাতার ব্যবহার
থানকুনি পাতার গুঁড়া, সজনা পাতার গুঁড়া, মুলতানি মাটি গুঁড়া, ও নিম পাতার গুঁড়া পানির সাথে মিশিয়ে প্যাক বানাতে হবে, এরপর সেটা মুখে দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ব্রণ হওয়া কমায় ও ত্বককে পরিষ্কার করে তোলে।
চুলের যত্নে থানকুনি পাতার ব্যবহার
থানকুনি পাতার গুঁড়া নিয়ে এর সাথে পরিমাণ মতো আমলা ও তুলসি পাতা মিশিয়ে ঘন পেস্ট বানাতে হবে। এরপর পেস্টটি চুলে লাগিয়ে নিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। ১০ মিনিট পর চুল ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে অন্তত ২ বার চুলের পরিচর্যা করলে চুল পড়া কমে যাবে।
সকল প্রকার আসল হারবাল ও অর্গানিক পণ্য কিনতে চাইলে আজই আজকেরডিল ডট কম ভিসিট করুন। আমাদের কাছে থাকা সকল পণ্য ভেজালমুক্ত। আপনি চাইলে আমাদের অন্যান্য প্রোডাক্টের ক্যাটাগরিগুলোও ভিসিট করতে পারেন। তাই দেরি না করে আজকেরডিল থেকে আপনার কাঙ্ক্ষিত প্রোডাক্ট অর্ডার করুন আর আমাদের সাথেই থাকুন।