তাসবি ও জায়নামাজ কিনুন অনলাইনে বাংলাদেশে
মহান আল্লাহতায়ালা মুসলমানদের তাসবি পড়ার আদেশ দিয়েছেন। তিনি আল- কুর’আন-এর অনেক আয়াতে তাসবি পড়ার নির্দেশ প্রদান করেছেন। সুরা নাসর-আয়াত : ৩-এ বলা হয়েছে, “সুতরাং আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি অধিক তাওবা গ্রহণকারী। ”
তাসবি পড়ার ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাকে সুস্পষ্ট ভাষায় নির্দেশনা দান করেছেন। সুরা ক্বাফ : আয়াত -৪০-এ আল্লাহ তাআলা বলেন, “তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর রাতের একাংশে এবং নামাজের পরেও।”
এ থেকে বোঝা যায় যে, আল্লাহ তাআলা নামাজের পরে তাঁর তাসবি তথা প্রশংসা করার নির্দেশ প্রদান করেছেন। আর এ তাসবি পাঠের ফলে আল্লাহ তাআলা বান্দার গুনাহ মাফ করবেন এবং তাওবাহ গ্রহণ করবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন।
আল্লাহর তাসবি পাঠ সব সময়ই করা ভালো। তবে মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে আমাদের প্রিয়নবী (সঃ) কে নামাজের পরেই বেশি করে তাসবি পড়ার কথা বলেছেন। এ প্রসঙ্গে আল-হাদিসেও দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, আল্লাহ তাআলা প্রিয়নবি (সঃ) কে প্রত্যেক নামাজের পর তাসবি পড়ার আদেশ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, “ফাসাব্বিহহু আদবারাস সুজুদ’”। এর অর্থ হলো “‘এবং সিজদাসমূহের সমাপ্তির পর’ অর্থাৎ নামাজ শেষে তাসবি পড়।” (বুখারি শরীফ)
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, “তোমরা আল্লাহর তসবি পাঠ কর।”
তাসবি সম্পর্কে রাসুল (সঃ) এর বানী
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফরজ নামাজের পর তাসবি পড়তে বলেছেন।
যেমন- সুবহানাল্লাহ ৩৩বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩বার এবং আল্লাহু আকবার ৩৪বার । বলা হয়ে থাকে, এই তাসবি প্রত্যেক ফরয নামাজের পর পড়লে বান্দার পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়ে থাকে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনার পরিমাণ হয়ে থাকে।
পবিত্র আল-হাদিসে অনেক তাসবি পড়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। যার মধ্যে বেশিরভাগই ফরজ নামাজের পর পড়ার কথা বলা হয়েছে। কেননা তাসবি পাঠ বান্দাকে গুণাহমুক্ত করে।এছাড়া নিয়মিত তাসবি পাঠ বান্দার তাওবা কবুল করে।
আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও গুণগান যাই করা হোক না কেন, সকল কিছুই তাসবি। তাই আমাদের উচিত বেশি বেশি করে তাসবি পড়া। আল্লাহ তাআলা মুসলিমদেরকে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর নিয়ম মেনে তাসবি পড়ার তাওফিক দান করুন।
মুসলিমদের প্রেয়ার ম্যাট বা জায়নামাজ
মুসলমানদের ইবাদতের মধ্যে নামাজ হলো অন্যতম। আর নামাজ দিনে পাঁচবার আদায় করা হয়ে থাকে। তাই নামাজ আদায় করার জন্য জায়নামাজ প্রয়োজন। যাদের ঘরে এখনো জায়নামাজ নেই বা আরও জায়নামাজ কিনতে ইচ্ছুক, তারা চাইলেই আজকেরডিল থেকে সুন্দর ও আরামদায়ক জায়নামাজ কিনে নিতে পারেন।
জায়নামাজের প্রয়োজনীয়তা
নামাজ আদায়ের জন্য জায়নামাজ অপরিহার্য একটি অনুসঙ্গ। জায়নামাজ হল নামাজের সময় মেঝেতে ব্যবহার করার মাদুর বা পাটি। এর উপর দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করা হয়। নামাজে জায়নামাজ বিছানো বাধ্যতামূলক নয়। তবে নামাজের স্থানে ধুলা-বালি ও ময়লা থেকে রক্ষার জন্যই এটি ব্যবহার করা হয়। নামাজের স্থান পবিত্র থাকা নামাজের অন্যতম শর্ত। তাই জায়নামাজ সবসময় পবিত্র রাখা উচিত। এর আকার এমনভাবে তৈরী করা হয়, যাতে মুসল্লিরা অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে নামাজ পরতে পারেন। আমাদের দেশে বিভিন্ন দেশের তৈরি ও বিভিন্ন রকমের জায়নামাজ পাওয়া যায়।
জায়নামাজ সাধারণত এক বা একাধিক ব্যক্তির নামাজের উপযোগী করে তৈরী করা হয়। একাধিক ব্যক্তির ব্যবহার উপযোগী বড় বড় জায়নামাজগুলো সাধারণত মসজিদ, ঈদগাহ, বা অফিস এমন বড় আকারের জামায়াতের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অন্যদিকে, একজনের নামাজের উপযোগী জায়নামাজে সাধারণত একজন ব্যক্তিই নামাজ আদায় করতে পারেন।
সাধারণত জায়নামাজে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন করা থাকে। এতে বিভিন্ন লতাপাতা, ফুল ইত্যাদি অপ্রাণীবাচক ডিজাইন থাকে। এছাড়াও পবিত্র কাবা ঘর ও মসজিদের ছবি জায়নামাজে ব্যবহৃত হয়। অনেক জায়নামাজে মেহরাবের ছবি আঁকা থাকে। এক্ষেত্রে, জায়নামাজ বিছানোর সময় মেহরাবের উপরের দিক কিবলামুখী করে রাখতে হয়। এছাড়া অনেক জায়নামাজে কোনরুপ ডিজাইন থাকে না, একদম সাধারণ ও পুরো একরং-এর জায়নামাজও বাজারে কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। ইসলামি সংস্কৃতির অন্যতম একটি নিদর্শন বলা যায় জায়নামাজকে।
এক কালারের জায়নামাজ, নামাজ আদায় করার জন্য সবচেয়ে উত্তম। তাই জায়নামাজ কেনার সময় এক কালারের জায়নামাজই প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত। আর কেনার সময় ভালো করে দেখে শুনে কিনতে হবে যাতে জায়নামাজে কোন পশু, পাখি বা প্রানীর ছবি বা অন্য কোন প্রকার বিকৃত কোন ছবি না থাকে। এই বিষয়ে খেয়াল রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। এর সাথে জায়নামাজের ফেব্রিকের দিকেও নজর দিতে হবে। খুব বেশি পাতলা বা খুব বেশি মোটা কাপড়ের জায়নামাজে নামাজ আদায় করা কষ্টকর হয়ে যায়।
আজকেরডিল ডট কম-এ যে জায়নামাজগুলো রয়েছে, সেগুলোর সবগুলোই হাই কোয়ালিটির। এই জায়নামাজগুলো বেশ আরামদায়ক, নরম ও সহজেই বহন করা যায়। এগুলোতে কোন প্রাণী বা কোন কিছুর বিকৃত ছবি বা ডিজাইন নেই।
আজকেরডিল ডট কমে রয়েছে এমন কিছু জায়নামাজের বর্ণনা দেওয়া হলো
পকেট জায়নামাজ
ওয়াটারপ্রুফ ম্যাট দিয়ে এই জায়নামাজটি তৈরী, সাথে রয়েছে একটি বিল্ট ইন কম্পাস। এই জায়নামাজটি আপনি চাইলে ভাঁজ করে আপনার পকেটে রাখতে পারেন। এর ফেব্রিকঃ ১০০% পলিয়েস্টার ও ওজন ৮০ গ্রাম। এর সাইজ হলো ১০২ X ৬৪ সে.মি। এই জায়নামাজটির সাথে তসবি নেই।
তাসবি ও জায়নামাজ কিনুন অনলাইনে
তাসবি ও জায়নামাজ কেনা এখন আরও সহজ! ঘরে বসে অর্ডার দিন আজকেরডিল ডট কম থেকে, আর পেয়ে যান ফ্রি হোম ডেলিভারি।