পেঁয়াজ কিনুন অনলাইনে সবচেয়ে কম দামে বাংলাদেশে
পেঁয়াজের বৈজ্ঞানিক নাম Allium cepa। এটি সাধারণ পেঁয়াজ বা বাল্ব পেঁয়াজ হিসাবেও পরিচিত। পেঁয়াজ একটি সাধারণ শাকসব্জী যা আমাদের দেশে পাওয়া যায়। এটি বিভিন্ন ধরণের খাবারে ব্যবহৃত হয়।
পেঁয়াজ সারা বিশ্বে চাষ ও ব্যবহার করা হয়। কোনও খাবার আইটেম হিসাবে, এগুলি সাধারণত রান্না করা হয়, একটি উদ্ভিজ্জ বা প্রস্তুত তৈরি শাকের অংশ হিসাবে, তবে কাঁচা খাওয়া যায় বা আচার বা চাটনি তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। কাটা হয়ে গেলে এগুলি তীব্র হয় এবং কিছু রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা চোখকে জ্বালা করে।
ত্বকের সমস্যা মেটায়-
পোকামাকড়ের কামড় হোক, বা রোদে পোড়া ট্যান, কিংবা ব্রণ-ফুস্কুরি, এ সবের সমস্যা থাকলে সে সমস্ত জায়গায় একটু পেঁয়াজের রস লাগান। একটু কুটকুট করতে পারে, তবে দ্রুত কাজ করবে।
হৃদয় এবং হাড় ভালো রাখে-
হাড়ের কঠিন ব্যারাম অ্যাথেরসক্লেরোসিস এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের সঙ্গে লড়ে। তার সঙ্গে দেহে খারাপ কোলেস্ট্রল কমায়। যার ফলে আপনার হার্ট সুস্থ থাকে।
নাক থেকে রক্ত পড়া বন্ধ-
গ্রীষ্মে বা শীতে অনেকের নাক থেকে রক্তপাত হয়। যদি এ সময়ে কাছাকাছি পেঁয়াজ থাকে তাড়াতাড়ি কেটে তার ঘ্রাণ নিতে থাকুন। রক্তপাত কমে যাবে বা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।
ডায়াবেটিকদের জন্য খুব ভালো-
দেহে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে পেঁয়াজ অত্যন্ত ভালো। যারা ডায়াবেটিক তারা চিকিত্স কের পরামর্শ নিয়ে রোজ পেঁয়াজ খান।
পেঁয়াজ হৃৎপিণ্ডের জন্যও উপকারি
রক্তকে জমাট বাঁধতে দেয় না এবং রক্তের কোলেস্টেরল কমায় পেঁয়াজ। তাই পেঁয়াজ হৃৎপিণ্ডের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অনেক কার্ডিওলোজিস্টই রোগীদেরকে নিয়মিত পেঁয়াজ খেতে বলে দেন। বিশেষ করে হার্ভাডের ডাক্তার ভিক্টর গুড়েউইচ তার রোগীদেরকে প্রতিদিন অন্তত একটি করে পেঁয়াজ খাওয়ার কথা বলেন।
সংক্রমণ সারায়-
এর মধ্যে কার্মিনেটিভ, অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল, অ্যান্টিসেপ্টিক এবং অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় পদার্থ মজুত রয়েছে। তাই শরীরে কোথাও সংক্রমণ ঘটে থাকলে কাঁচা পেঁয়াজ একটু বেশি খান, চটজলদি উপকার পাবেন।
৩। জ্বর-সর্দিতে অসাধারণ কাজ করে-
ঠান্ডা লাগার ফলে গলা ব্যথা, সর্দি-কাশি, জ্বর, অ্যালার্জি বা সামান্য গা ব্যথায় দারুণ কাজ করে। সামান্য পেঁয়াজের রসের সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে খান। জলদি সেরে উঠবেন।
৪। দেহের তাপমাত্র কমায়-
জ্বরে দেহের তাপমাত্রা বেশি থাকলে পাতলা করে কাটা পেঁয়াজ কপালে রাখলে কিছু ক্ষণের মধ্যে তাপমাত্রা কমিয়ে দেবে।
৫। ৬। হজমশক্তি বাড়ায়-
যাদের হজমে সমস্যা রয়েছে তাঁরা রোজ একটু কাঁচা পেঁয়াজ খান। পেঁয়াজ খাবার হজমের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন এনজাইম বাড়াতে সাহায্য করে। যার ফলে দ্রুত খাবার হজম হয়।
৮। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ে-
কোলন ক্যান্সারের মতো রোগের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে।
৯।
পেঁয়াজ আমাদের শরীরের কি কি উপকার করে? এই পেঁয়াজে রয়েছে বহুরকম গুণাগুণ। যা আমাদের শরীরের জন্য বড়ই উপকারী।
কি কি প্রোটিন রয়েছে পেঁয়াজে
সাধারণ মাপের একটি বড় পেঁয়াজে ৮৬.৮ শতাংশ পানি, ১.২ শতাংশ প্রোটিন, ১১.৬ শতাংশ শর্করা জাতীয় পদার্থ, ০.১৮ শতাংশ ক্যালসিয়াম, ০.০৪ শতাংশ ফসফরাস ও ০.৭ শতাংশ লোহা থাকে। এছাড়া পেঁয়াজে ভিটামিন এ, বি ও সি রয়েছে।
দাঁতের সংক্রমণ বা সমস্যা রোধ: দাঁতের সংক্রমণ রোধ করতেও পেঁয়াজের জুরি মেলা ভার। ২-৩ মিনিট পেঁয়াজ চিবিয়ে খান। ফলে দাঁতে লুকিয়ে থাকা জীবাণুগুলো মরে যাবে। সংক্রমণের সম্ভাবনাও কমবে।
পেঁয়াজে রয়েছে উপকারী কোয়ারসেটিনের উৎকৃষ্ট উপাদান
এই পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে কোয়ারসেটিন আছে যা পেয়াজের বাইরের হালকা বেগুনী ত্বকে থাকে। কোয়ারসেটিন রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়, রক্ত জমাট বাঁধা রোধ করে, হাঁপানির সমস্যা কমায়, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ব্রঙ্কাইটিস সমস্যার সমাধানে সহায়তা করে থাকে।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এই উপকার পেতে সারাদিন পেঁয়াজ না খেলেও চলবে। গবেষকদের মতে দিনে মাত্র একটি মাঝারী আকারের রান্না করা কিংবা কাঁচা পেঁয়াজ খেলেই এই উপকারিতা পাওয়া যাবে।
পেঁয়াজ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
গবেষণায় দেখা গেছে, পেঁয়াজের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট কোষের ডিএনএ কে ক্ষতির থেকে বাঁচিয়ে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এমনকি গবেষণায় দেখা গেছে যে পেঁয়াজের রস টেস্ট টিউবের টিউমার সেল কে ধ্বংস করে এবং ইদুরের শরীরের টিউমারের বৃদ্ধি রোধ করে থাকে। পেঁয়াজের রস বিষাক্ত নয় এবং এর কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তাই যত খুশি তত খেলেও কোনো সমস্যা নেই।
পেঁয়াজ শরীরকে বিষ মুক্ত করে
প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজে প্রাকৃতিক সালফার যৌগ আছে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সালফারে এমিনো এসিড আছে যা রসুন ও ডিমে পাওয়া যায়। এই এমিনো এসিডগুলোকে মিথিওনাইন ও সিস্টাইন বলা হয়। এই উপাদান গুলো শরীরকে বিভিন্ন ক্ষতিকর ধাতুর থেকে মুক্তি দেয়। এমন কি এগুলো শরীর থেকে সীসা, আর্সেনিক ও ক্যাডমিয়াম বের করে দেয় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। পেঁয়াজে আরও রয়েছে ভিটামিন সি যা শরীরকে বিশুদ্ধ করে, বয়ষ্কদের ত্বক রক্ষায় উপকারে আসে এবং সীসা, আর্সেনিক ও ক্যাডমিয়াম থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
পেঁয়াজ যৌন ক্ষমতা বাড়ায়
গবেষকরা জানিয়েছেন, পেঁয়াজ যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। প্রতিদিন অন্তত এক গ্লাস করে পেঁয়াজের রস খেলে যৌন ক্ষমতা বাড়ে। এভাবে নিয়মিত খেলে যৌন ক্ষমতা প্রায় ২০০% বেড়ে যায়। যারা পেঁয়াজের রস খেতে পছন্দ করেন না তাঁরা খাবারের সাথে কাঁচা পেঁয়াজ খেলেও উপকার পাবেন।
পেঁয়াজ হৃৎপিণ্ডের জন্যও উপকারি
রক্তকে জমাট বাঁধতে দেয় না এবং রক্তের কোলেস্টেরল কমায় পেঁয়াজ। তাই পেঁয়াজ হৃৎপিণ্ডের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অনেক কার্ডিওলোজিস্টই রোগীদেরকে নিয়মিত পেঁয়াজ খেতে বলে দেন। বিশেষ করে হার্ভাডের ডাক্তার ভিক্টর গুড়েউইচ তার রোগীদেরকে প্রতিদিন অন্তত একটি করে পেঁয়াজ খাওয়ার কথা বলেন।
পেঁয়াজে রয়েছে বহুবিধ গুণাগুণ উপকারীঃ
১। পেয়াজের রস চুলে দিলে তা উকুন নাশক হিসেবে কাজ করবে পাশাপাশি চুল পরা কমাতেও সাহায্য করবে।
২। দৈনিক পেয়াজ খেলে তা আপনার যৌন সমস্যাগুলো দূর করবে।
৩। লাল পেঁয়াজ মাসিক রোগ সংশোধন করতে সাহায্য করে, মাসিক শুরু হবার কিছু দিন আগে লাল পেয়াজ খান।
৪। কারো নাক দিয়ে রক্ত পরলে কাচা পেয়াজ কেটে তার ঘ্রাণ নিতে দিন।
৫। প্রতিদিন একটা পেঁয়াজ আপনার ঘুমের অভাব দূর করবে।
৬। পোকামাকড় কামড়ালে সেখানে পেঁয়াজের রস লাগিয়ে দিন।
৭। সাদা পেয়াজ পাইলস্ থেকে রক্ত ঝরা বন্ধ করবার জন্যেও সুপারিশ করা হয়।
৮। পেয়াজ হজম শক্তি বাড়ায়।
৯। শরীর থেকে অবাঞ্ছিত কলেস্টেরল সরিয়ে সাহায্য করে।
১০। দৈনিক একটি লাল পেঁয়াজ করোনারি হার্ট রোগ থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারে।
১১। পেঁয়াজ শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
১২। পেঁয়াজ শরীরের বাতের ব্যথা বা জয়েন্ট পেইন দূর করে।
১৩। হলুদের সাথে পেয়াজের রস মিশ্রিত করে শরীরে কোন কাল দাগ থাকলে সেখানে ব্যবহার করুন।
১৪। দাঁতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে পেয়াজ।
১৫। আপনার শিশুর কৃমি সমস্যা থাকলে এক চামচ পেঁয়াজের রস খেতে দিন।
১৬। পেয়াজ মেমরি ও স্নায়ুর উন্নতি ঘটায়।
১৭। কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে।
১৮। প্রতিদিন চিনি দিয়ে পেয়াজ খেলে তা শিশুদের উচ্চতা লাভ করতে সাহায্য করে।
১৯। বারবার বমি হলে চার-পাঁচ ফোঁটা পেঁয়াজের রস পানিতে মিশিয়ে সে পানি খেলে বমি হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।
২০। হেঁচকি উঠলে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে পানি খেলে হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয়ে যাবে।
২১। পেঁয়াজ খেলে শরীরের অতিরিক্ত ইউরিক এসিড বের হয়ে যায়।
২২। চুল ধোয়ার আগে মাথায় আধঘণ্টা পেঁয়াজের রস মেখে রাখলে চুলের গোড়া শক্ত হয় এবং নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে।