পাউডার দুধ কিনুন অনলাইনে । আজকেরডিল
পাউডার দুধ বা গুঁড়া দুধ তরল দুধকে বাষ্পীভূত করে তৈরি করা হয়ে থাকে। যেহেতু তরল দুধ খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়, তাই অনেকেই তরল দুধের পরিবর্তে গুঁড়া দুধকে ব্যবহার ও পানের জন্য বেছে নেন। ব্যবহার ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও বেশ উপযোগী হওয়াতে অনেকেই গুঁড়া দুধ ব্যবহার করতেই বেশি পছন্দ করেন। গুঁড়া দুধ ব্যবহার করে যেকোন খাবার, যেমন- পায়েস, সেমাই, মিষ্টি, দৈ ইত্যাদি তৈরি করলে খাবারের স্বাদই অনেকগুণে বেড়ে যায় এবং বাড়তি একটা ক্রিমি ভাব আসে। তাই আজকাল অনেকেই মিষ্টি জাতীয় খাদ্য তৈরি করার সময় গুঁড়া দুধ ব্যবহার করেন।
কিছু মানুষ তরল দুধের পরিবর্তে গুঁড়া দুধ পান করতে পছন্দ করেন। কারণ, তারা মনে করেন যে গুঁড়া দুধ, তরল দুধের চাইতেও বেশী পুষ্টিকর। তরল দুধের সকল পুষ্টি উপাদান গুঁড়া দুধেও থাকে, তবে গুঁড়া দুধ ও তরল দুধের মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য পার্থক্য আছে। আর গুঁড়া দুধ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা খুব জরুরী, তা নাহলে এতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে খুব সহজেই।
গুঁড়া দুধের কিছু বৈশিষ্ট্য
গুঁড়া দুধের স্বাদ ও পুষ্টিগুণ
তরল দুধের স্থান খুব সহজেই গুঁড়া দুধ দখল করতে পারে। কারণ, এতে বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেলস রয়েছে। এছাড়াও, গুঁড়া দুধ দিয়ে খুব সহজেই যেকোন পানীয় ও শেক তৈরি করা যায়। তবে গুঁড়া দুধের স্বাদ একটু ভিন্ন হয়ে থাকে। অনেকেই গুঁড়া দুধের স্বাদ বেশ পছন্দ করেন। তবে গুঁড়ো দুধ কোন দিক দিয়েই তরল দুধের চাইতে বেশি পুষ্টিকর নয়। মাঝে মাঝে স্বাদ বদলের জন্য গুঁড়া দুধ খাওয়া যেতে পারে।
গুঁড়া দুধ দামে সস্তা
গুঁড়া দুধ ব্যবহারের অন্যতম একটি দিক হলো এটি অত্যন্ত সাশ্রয়ী। তরল প্রাকৃতিক দুধ কিংবা প্যাকেটজাত দুধের তুলনায় গুঁড়া দুধ অনেক কম দামে কেনা যায়, আবার পুষ্টিগুণেও প্রায় তরল দুধের মতই। তাই আজকাল গুঁড়া দুধ মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ল্যাক্টোজ ইন্টলারেন্টদের জন্য গুঁড়া দুধ
যাদের দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্যে এলার্জি রয়েছে বা এসিডিটি হয়, মোটকথা, যারা দুধ খেতে পারেন না, তাদের জন্য রয়েছে ‘লো ল্যাক্টোজ পাউডারড মিল্ক ফর্মুলা’। গবেষণা মতে, যারা সাধারণ দুধ গ্রহণ করতে পারেন না, তাদের জন্য এই লো ল্যাক্টোজ পাউডার মিল্ক অত্যন্ত নিরাপদ। তাই যাদের দুধ খেতে সমস্যা হয়, তারা এই দুধ খেয়ে দেখতে পারেন।
পানিতে ভালোভাবে দ্রবীভূত হয়
খারাপ মানের গুঁড়া দুধ পানিতে মেশে না। তাই গুঁড়া দুধ কেনার সময় ভালো মান ও ভালো ব্র্যান্ড দেখে কিনতে হবে। একই সাথে গুঁড়া দুধের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখও দেখে নিতে হবে। তা না হলে পেটে সমস্যা হতে পারে।
গুঁড়া দুধ বানানোর রেসিপি
আপনি চাইলে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে বাড়িতে বসেই গুঁড়া দুধ বানিয়ে ফেলতে পারেন। নিচে রেসিপিটি দেওয়া হলো-
প্রয়োজনীয় উপকরণ
তরল দুধ ১ লিটার, চিনি ১/২ কাপ।
প্রস্তুত প্রণালী
চুলার উপর একটি প্যান বসিয়ে এতে দুধ জ্বাল দিতে হবে। দুধ ফুটে উঠলে চুলার আঁচ একদম কমিয়ে দিয়ে জ্বাল দিতে থাকতে হবে। আস্তে আস্তে দুধের উপর সর পড়তে থাকবে। সর পড়লে একটি চামচের সাহায্যে চারদিক থেকে মাঝখানে এনে রাখতে হবে। এভাবে সব দুধকে মালাই বানিয়ে বাটিতে ঢেলে নিতে হবে।
এরপর একটি প্লেটে মালাইগুলোকে ছড়িয়ে দিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। মালাইগুলো ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে এগুলোকে প্লেট থেকে তুলে হাত দিয়ে ভেঙে নিতে হবে। সবশেষে, শুকিয়ে নেওয়া মালাই ও চিনি দিয়ে ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যসম্মত গুঁড়া দুধ।
সংরক্ষণ
একটি কাঁচের বোতলে গুঁড়া দুধ ভরিয়ে রেখে নরমাল ফ্রিজে রেখে প্রায় এক মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে। ব্যবহার করার পর বোতলের ঢাকনা অবশ্যই ভালো করে বন্ধ করতে হবে। তা না হলে বাতাস ঢুকে গুঁড়া দুধ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
আজকেরডিল ডট কম থেকে ফ্রেশ পাউডার মিল্ক ও কন্ডেন্সড মিল্ক কিনুন। আমরা আপনাদের জন্য সবচেয়ে ভালো পণ্যটি সংগ্রহ করে থাকি, তাই আপনি পণ্যের মান নিয়ে চিন্তামুক্ত থাকতে পারেন। দুধ ছাড়াও আমাদের কাছে আরও অনেক ক্যাটাগরির প্রোডাক্ট রয়েছে। আপনি চাইলে আমাদের সকল ক্যাটাগরি ব্রাউজ করতে পারেন। আজই অনলাইনে বসে অর্ডার দিন আর বাসায় বসে হোম ডেলিভারি পান আপনার প্রোডাক্টটি।