ক্লিনিং প্রোডাক্টস কিনুন সবচেয়ে কম দামে বাংলাদেশে
ঘর-বাড়ি প্রতিদিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা খুবই জরুরী। কিন্তু মাঝে মাঝে তা সম্ভব হয়ে উঠে না। তাই জানালা, কিচেনের সিল্ক কিংবা বাথরুমের কোণের মতো ঘরের বিভিন্ন জায়গায় খুব সহজেই ময়লা জমে যায়।
যেকোনো রকমের অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে থাকতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কোন বিকল্প নেই। কিন্তু ধুলা এমন একটি বায়ুপ্রবাহিত বস্তু যা খুব সহজেই ঘরে জায়গা করে নেয় আর ঘরকে ময়লা করে। সেই সাথে নানারকম জীবাণুর বিস্তার ঘটাতে থাকে। তবে কিছু কৌশল জানা থাকলে ঘর সহজেই পরিষ্কার রাখা সম্ভব।
নিচে ঘর পরিষ্কার রাখারা কিছু সাধারণ কিন্ত উপকারী টিপস দেওয়া হলো-
রান্নাঘর পরিষ্কার
কড়াই বা প্যানে খাবার পুড়ে গেলে তা পরিষ্কার করা বেশ কষ্টকর হয়ে যায়। এক্ষেত্রে এই প্যান বা কড়াইয়েইয়ে লিকুইড ডিশ সোপ ও পানি একসাথে মিশিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় গরম করতে দিতে হবে। ফুটে উঠলে চুলো বন্ধ করে ঠাণ্ডা হতে দিতে হবে। এরপর বাসনটি পরিষ্কার করার সময় দেখা যাবে, পোড়া খাবারগুলো সহজেই উঠে যাচ্ছে।
রান্না ঘরের সিংকের তলায় ময়লা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে বলে বেশি ময়লা হয়। এই সমস্যা সমাধানে একটি বড় ডাস্টবিন রাখা যেতে পারে।
টয়লেট পরিষ্কার
সাধারণ হারপিক দিয়ে বাথরুম ও টাইলস ক্লিনার দিয়ে বাথরুমের মাঝের টাইলস পরিষ্কার করা যায়। এছাড়া বাথরুমে একটি ময়লার ঝুড়ি রাখলে ভালো হয়, এতে সাবান, শ্যাম্পুর মোড়ক টিস্যু, ইত্যাদি ফেলা যায়।
ঘর পরিষ্কার
মেঝে পরিষ্কার করার জন্য এক লিটার পানিতে এক কাপের অর্ধেক পরিমাণ টাইলস ক্লিনার মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়। এতে ঘর জীবাণুমুক্ত থাকে আর ময়লাও কম হয়।
দেওয়ালের কোনায় মাকড়সার ঝুল হয় এবং অনেক সময় এর সাথে
ঝুলজাতীয় কালিও লেগে থাকে। ঘরের এই ঝুল-ময়লা সহজে পরিষ্কার করার জন্য সিলিং ব্রাশ বা ঝুল ঝাড়ার ঝাড়ন পাওয়া যায়। বেশ লম্বা হাতলওয়ালা এই ব্রাশগুলোতে প্লাস্টিকের নরম আঁশ বা নারকেলের শলাকা ব্যবহৃত হয়। লম্বা হাতল থাকাতে অনেক উচুতে থাকা ময়লাও এর সাহায্যে সহজে পরিষ্কার করা যায়।
জানালার কাঁচ পরিষ্কার করার সময় ভিতরের অংশ আড়াআড়িভাবে ও বাইরের অংশ লম্বালম্বিভাবে পরিষ্কার করতে হবে। এতে জানালার কাচে মোছার দাগ থাকলেও তা সহজে বোঝা যাবে না। আর কাঁচ পরিষ্কার করার সময় হোয়াইট ভিনেগার দিয়ে মোছা যায়, এতে কাঁচ ঝকঝকে হবে। একটি পরিষ্কার সুতি কাপড়ে সামান্য ভিনেগার নিয়ে ভালো করে জানালার কাচ মুছে ফেলতে হবে।
মাঝে মাঝে দরজার গায়ে লেগে থাকা ধুলা একটি শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে। প্লাস্টিকের দরজা হলে ভেজা কাপড় দিয়েও মুছে দেওয়া যায়।
দরজা বা জানালার পর্দায় ধুলো জমে থাকলে দেখতে আস্বস্তি লাগে। ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পর্দার ধুলা ঝেড়ে এরপর তা ধুয়ে ফেললেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। আর পর্দা বেশি ভারি হলে ড্রাই ওয়াশে দেওয়া যেতে পারে।
ফ্রিজ পরিষ্কার
সাবধানতার সাথে নিয়মিত ফ্রিজ পরিষ্কার করতে হবে। মাসে অন্তত এক দিন রেফ্রিজারেটর পরিষ্কার করার জন্য সময় রাখতে হবে। প্রথমেই ফ্রিজের সুইচ অফ করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। এরপর ডিসওয়াশ লিকুইড বা ভিনেগার মিশ্রিত পানি দিয়ে ফ্রিজের ভেতর ও বাইরের অংশ ধুয়ে নিতে হবে। আর ফ্রিজের ট্রে, পকেট ও র্যাকগুলোকে বাইরে বের করে ডিটারজেন্ট পাউডার দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। অতিরিক্ত পানি মুছে এগুলোকে শুকিয়ে নিতে হবে। তারপর আবার ট্রে, পকেট ও র্যাকগুলোকে সেট করতে হবে। আর ফ্রিজের গায়ে লেগে থাকা বরফগুলো ফ্রিজ বন্ধ করে রাখলে কিছুক্ষণ পর তা এমনিতেই গলে যাবে। তখন এগুলোকে আস্তে করে প্লাস্টিকের চামচ দিয়ে তুলে ফেলে দিতে হবে। পুরো ফ্রিজ পরিষ্কার করে, পানি শুকিয়ে এরপর আবার ফ্রিজটি চালু করে দিতে হবে। এভাবে মাসে একবার করে ফ্রিজ পরিষ্কার করতে পারলে ফ্রিজ অনেকদিন টিকবে।
ওভেন পরিষ্কার
মাইক্রোওয়েভ ওভেন পরিষ্কার করার সহজ উপায় হলো, একটি সিরামিক বা কাঁচের বাটিতে লেবুর রস ও পানি একসাথে মিশিয়ে ওভেনের ভেতরে দিতে হবে। এরপর ওভেনের ‘ক্লিন’ বাটন চেপে অপেক্ষা করতে হবে। প্রায় ৫ মিনিট পর দেখা যাবে ওভেনের ভেতরে লেবু-পানির মিশ্রণটি ওভেনের ভেতরে ছড়িয়ে গেছে। এরপর ওভেন ঠাণ্ডা হলে স্পঞ্জ বা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ওভেনের ভিতর ও বাইরের অংশ পরিষ্কার করে দিতে হবে।
আজকেরডিল ডট কম থেকে আপনি আজই ঘর পরিষ্কার করার বিভিন্ন সামগ্রী অর্ডার করতে পারেন। আমরা আমাদের প্রোডাক্টগুলো হোম ডেলিভারি দিয়ে থাকি। তাই দেরি না করে আজই অর্ডার দিন আজকেরডিলে, আর খুব কম সময়ের মধ্যে আপনার প্রোডাক্টটি বুঝে নিন।